ফারুক হোসেন ডন
নাচোলে বন্ধ হচ্ছে না গরু চুরি এই উপজেলায় প্রতিনিয়ত শোনা যাচ্ছে গরু চুরির ঘটনা । ধরাছোঁয়ার বাইরে থাকায় বেপরোয়া হয়ে উঠেছে গরু চোরেরা, আবারও গোয়াল ঘরের তালা কেটে গরু চুরির ঘটনা ঘটেছে। বুধবার দিবাগত রাতে নাচোল সদর ইউনিয়নের ঘিওন উঁচাপুকুর গ্রামের আঃ সালামের গোয়াল ঘরের তালা কেটে ৫টি গরু চুরি করেছে চোরেরা। নাচোল সদর ২ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য শফিকুল আলম এর সত্যতা নিশ্চিত করেন। ভুক্তভোগী আব্দুস সালাম জানান, সন্ধ্যার পর গোয়ালে গরু তুলে তারপর ঘরে তালা মেরে আমরা রাত আনুমানিক সাড়ে ১০টার পর ঘুমিয়ে পড়ি। সকালে ঘুম থেকে জেগে ঘর থেকে গরু বের করতে গেলে দেখতে পাই যে, ঘরের তালা কেটে গরু চুরি করে নিয়ে গেছে চোরেরা, এরমধ্যে ৩টা গাই ১টা দামড়া এবং ১টি ৯দিনের বাছুর ছিল। এর কিছুদিন আগে শিমুলতলার ৬ নং ওয়ার্ড সাবেক পৌর কাউন্সিলর সানাউল্লাহ আহমেদের বাড়ি থেকে কি কায়দায় ৫টি ও উপজেলার নিজামপুর ইউনিয়নের পঁচাকান্দার গ্রামে মমিনুর রহমানের মাটির ঘরের জানালা ভেঙে ৩টি গরু চুরি করে নিয়ে গেছে সংঘবদ্ধ চোরেরা। এই বিষয়ে আতঙ্কিত এলাকাবাসী, প্রতি রাতে কোন না কোন এলাকায় হানা দিচ্ছে সংঘবদ্ধ চোরের দল। গভীর রাতে গোয়াল ঘর থেকে গরু চুরি করে। আর এসব ঘটনায় খুব কম গরু খুঁজে পাওয়া যায় ফলে চোরের দল পার পেয়ে যাচ্ছে নির্বঘ্নে। সংঘবদ্ধ চোরের দল নানা কৌশলে চুরি করে যাচ্ছে। কৃষি নির্ভর পরিবারগুলো গরু দিয়ে চাষবাদ করে জীবিকা নির্বাহ করে। আর গরু চোরেরা যখন এসব মূল্যবান গরু চুরি করে নিয়ে যায় তখন হতদরিদ্রর পরিবারগুলো নিঃস্ব হয়ে পড়ে, এলাকায় এখন আতঙ্কে নির্ঘুম রাত কাটাচ্ছে মানুষ। গরু চুরি বেড়ে যাওয়া বিষয়ে নাচোল থানার অফিসার ইনচার্জ মনিরুল ইসলাম বলেন,আমরা শুনেছি গরু চুরির কথা, থানায় এখনো কোন অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে এবং আমরা এলাকায় পুলিশের টহল, জোরদার করার চেষ্টা করছি।