
অনলাইন ডেস্ক
সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে পালিত হচ্ছে পবিত্র ঈদুল ফিতর। রোববার (৩০ মার্চ) সকালে রাজধানীর বেশ কয়েক জায়গায় ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে।
মুসলিম উম্মাহ বাংলাদেশের আয়োজনে সকাল সোয়া ৭টায় পান্থপথের সামারাই কনভেনশন সেন্টারে ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয়। শিশু ও নারীসহ মুসল্লিরা জামাতে ঈদের নামাজ আদায় করেন। নামাজ শেষে একে অপরের সঙ্গে কোলাকুলি করেন।
মুসল্লিরা দাবি করেন, পৃথিবীর কোথাও চাঁদ দেখা গেলে রোজা রাখা হারাম। সারা পৃথিবীতে ঈদ হচ্ছে, সে হিসেবে আমরাও পালন করছি। এর আগেও ঈদ পালন করেছি।
একই তারিখে রোজা রাখা ও ঈদ উদ্যাপন করার জন্য সব মুসলমানদের প্রতি আহ্বান জানান নামাজে আসা মুসল্লিরা।
এ ছাড়া আরও কয়েক জায়গায় ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হচ্ছে বলে জানা গেছে। মৌলভীবাজার সার্কিট হাউস এলাকায়ও ঈদুল ফিতরের জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে।
জানা গেছে, চাঁদপুরের অর্ধশত গ্রামেও উদ্যাপন হচ্ছে ঈদুল ফিতর। মাদারীপুরের ২৫টি গ্রামের ৩০ হাজার মানুষ পালন করছেন ঈদুল ফিতর।
প্রতি বছর রমজান শেষে ঈদের চাঁদ দেখা ও ঈদ উদ্যাপন নিয়ে শুরু হয় আলোচনা-সমালোচনা। সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে দেশের অনেক স্থানেই পালিত হয় ঈদের আনুষ্ঠিকতা। এবারও এর ব্যতিক্রম হয়নি।
এবার আবহাওয়া অধিদফতরের তথ্য বলছে, ৩০ মার্চ অর্থাৎ ২৯ রমজানে সূর্যাস্তের সময় শাওয়াল মাসের চাঁদের বয়স হবে ১.০৫ দিন। আর পরের দিন ৩১ মার্চ ২.০৫ দিন। এসময় চাঁদের স্থায়িত্ব হবে ৩০ মার্চ সন্ধ্যায় ৪৩ মিনিট আর পরের দিন আকাশে চাঁদের উপস্থিতি থাকবে ৫১ মিনিট।
আবহওয়া অফিসের তথ্য অনুযায়ী, আকাশ মেঘমুক্ত থাকলে ৩০ মার্চ সন্ধ্যায় খালি চোখেই দেখা যেতে পারে শাওয়াল মাসের চাঁদ। সৌদি আরবসহ অন্যান্য দেশের সঙ্গে একই দিনে ঈদ উদ্যাপনের বিষয়ে এবার আলোচনা উঠলেও ইসলামি চিন্তাবিদরা কোরআন এবং হাদিসের নির্দেশনাকে মেনে চলার ওপর গুরুত্ব দিচ্ছেন। সৌদি আরবের সঙ্গে একইসঙ্গে ঈদ উদ্যাপন বিষয়ে শিগগিরই সরকারের পক্ষ থেকে সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছে ইসলামি ফাউন্ডেশন।